ন তাওয়াফ আর ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছেন সমবেত মুসল্লিরা। তাদের লক্ষ্য কাবা শরীফ। উদ্দেশ্য আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ ও সন্তুষ্টি অর্জন। নির্দিষ্ট দিনে আনুষ্ঠানিক কিছু কাজ সম্পাদনের মধ্য দিয়ে হজ পালিত হয়। হজ পালন করে মুসলমানরা এক দিকে আল্লাহর নির্দেশ পালন করেন; অন্য দিকে আল্লাহর পথে আরো দৃঢ় ও ঘনিষ্ঠভাবে চলার জন্য মনস্থির করেন এবং বাস্তব শিক্ষা অর্জন করেন। সে জন্যই হজ পালন করে আসার পর মুসল্লিদের মধ্যে ইবাদত-বন্দিগির প্রতি ঝোঁক বেশি লক্ষ করা যায়। শরিয়ত অনুযায়ী জীবনযাপনের চেষ্টা করতে দেখা যায়। আল্লাহ তায়ালা বান্দার ওপর নামাজ, রোজা, জাকাত, হজের মতো কিছু বিধান পালন বাধ্যতামূলক করে দিলেও এসবের মধ্যে বান্দার জন্য বহুবিধ উপকারিতা রেখেছেন। ইসলামি বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব বাধ্যতামূলক কাজ মুসলমানদের তার আসল কাজ তথা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁরই সব আদেশ-নিষেধ পালন করার উপযোগী করে তোলে। বিশেষ করে মানুষ যাতে জীবনের কোনো অবস্থায় আল্লাহকে ভুলে না বসে, তার পথ থেকে দূরে সরে না যায় তার জন্যই এসব আনুষ্ঠানিক কাজকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। এই ধরনের ফরজ ইবাদতকে কেউ কেউ বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ বলে মত দিয়েছেন। বাস্তবেও নামাজ-রোজা-হজের মতো বিধানগুলোর সব কর্মের দিকে দৃষ্টিপাত করলে তাই মনে হয়। প্রতিটি কাজের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, শারীরিক সক্ষমতা অর্জন এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন দিকের প্রভাব লক্ষ করা যাবে। তাই হজ পালনের ক্ষেত্রেও মুসলমানদের এর আনুষ্ঠানিকতার সাথে সাথে এর অন্তর্নিহিত শিক্ষার প্রতিও নজর দেয়া জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, September 29, 2014
হজে মুসলমানদের জন্য বহুবিধ শিক্ষা:নয়াদিগন্ত
ন তাওয়াফ আর ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছেন সমবেত মুসল্লিরা। তাদের লক্ষ্য কাবা শরীফ। উদ্দেশ্য আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ ও সন্তুষ্টি অর্জন। নির্দিষ্ট দিনে আনুষ্ঠানিক কিছু কাজ সম্পাদনের মধ্য দিয়ে হজ পালিত হয়। হজ পালন করে মুসলমানরা এক দিকে আল্লাহর নির্দেশ পালন করেন; অন্য দিকে আল্লাহর পথে আরো দৃঢ় ও ঘনিষ্ঠভাবে চলার জন্য মনস্থির করেন এবং বাস্তব শিক্ষা অর্জন করেন। সে জন্যই হজ পালন করে আসার পর মুসল্লিদের মধ্যে ইবাদত-বন্দিগির প্রতি ঝোঁক বেশি লক্ষ করা যায়। শরিয়ত অনুযায়ী জীবনযাপনের চেষ্টা করতে দেখা যায়। আল্লাহ তায়ালা বান্দার ওপর নামাজ, রোজা, জাকাত, হজের মতো কিছু বিধান পালন বাধ্যতামূলক করে দিলেও এসবের মধ্যে বান্দার জন্য বহুবিধ উপকারিতা রেখেছেন। ইসলামি বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব বাধ্যতামূলক কাজ মুসলমানদের তার আসল কাজ তথা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁরই সব আদেশ-নিষেধ পালন করার উপযোগী করে তোলে। বিশেষ করে মানুষ যাতে জীবনের কোনো অবস্থায় আল্লাহকে ভুলে না বসে, তার পথ থেকে দূরে সরে না যায় তার জন্যই এসব আনুষ্ঠানিক কাজকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। এই ধরনের ফরজ ইবাদতকে কেউ কেউ বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ বলে মত দিয়েছেন। বাস্তবেও নামাজ-রোজা-হজের মতো বিধানগুলোর সব কর্মের দিকে দৃষ্টিপাত করলে তাই মনে হয়। প্রতিটি কাজের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, শারীরিক সক্ষমতা অর্জন এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন দিকের প্রভাব লক্ষ করা যাবে। তাই হজ পালনের ক্ষেত্রেও মুসলমানদের এর আনুষ্ঠানিকতার সাথে সাথে এর অন্তর্নিহিত শিক্ষার প্রতিও নজর দেয়া জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment