তা না হলে অন্য কোনো কারণে তাদের ওপর এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হতে পারে। ইসরাইলের গাড়িচালক আব্দুল আলিম জানান, গতকাল রাত ৮টার দিকে মতিঝিল আদমজি কোটের ইউনিভার্সল মানি এক্সচেঞ্জের অফিস থেকে বাসায় ফিরবেন বলে বাবা-ছেলে তাদের প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-৮৫১৫) ওঠেন। রাত পৌনে ৯টার দিকে তারা খিলগাঁও ১৫১/২/৩৭/২ তিলপাপাড়ার বাসার সামনে পৌঁছেন। চালক আরো বলেন, ওই বাড়িটি ইসরাইলের নিজের। কিন্তু সেখানে গাড়ি রাখার পার্কিং না থাকায় পাশের বাড়ির পার্কিং প্লেস ভাড়া নিয়ে সেখানে তারা গাড়ি রাখেন। পাশের বাসার পার্কিংয়ে গাড়ি রেখে বাবা-ছেলে টাকা ভর্তি ব্যাগটি নিয়ে পায়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন। গেট থেকে বের হতেই তিনটি মোটরসাইকেলে ছয়-সাতজন দুর্বৃত্ত তাদের ঘিরে ধরে। তারা কোনো কথা না বলে বাবা-ছেলেকে লক্ষ্য করে একাধিক অগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। তাদের ছোড়া গুলি ইসরাইলের ডান হাত, বাম পায়ের উরু ও ডান পায়ের হাঁটুতে বিদ্ধ হয়। তার ছেলে সায়মনের বুকে ও হাতে গুলি লাগলে তারা দুজনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তারা চিৎকার করলে কেউ এগিয়ে আসেনি। সন্ত্রাসীরা ইসরাইলের কাছে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে চলে যায়। পরে আহত দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় খিদমাহ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ৯ টায় চিকিৎসকেরা সায়মনকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, চিকিৎসাধীন ইসরাইলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। পারিবারিক সূত্র জানায়, ইসরাইল হোসেনের তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সায়মন সবার বড়। তিনি বাবা ইসরাইলের ব্যবসায় সহযোগিতা করে আসছিলেন। মাত্র কয়েক দিন আগে আলপনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করেন সায়মন। এ দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলছে শোকের মাতম। নিহত সায়মনের মা ও স্ত্রী বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। খিলগাঁও থানার এসআই লিয়াকত আলী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুর্বৃত্তরা যেহেতু টাকা ছিনিয়েছে বলে জানা গেছে সেহেতু বিষয়টি ছিনতাই বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে টাকা না নিয়ে থাকলে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে। ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Friday, September 5, 2014
খিলগাঁওয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ছেলে নিহত, বাবা আহত:নয়াদিগন্ত
তা না হলে অন্য কোনো কারণে তাদের ওপর এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হতে পারে। ইসরাইলের গাড়িচালক আব্দুল আলিম জানান, গতকাল রাত ৮টার দিকে মতিঝিল আদমজি কোটের ইউনিভার্সল মানি এক্সচেঞ্জের অফিস থেকে বাসায় ফিরবেন বলে বাবা-ছেলে তাদের প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-৮৫১৫) ওঠেন। রাত পৌনে ৯টার দিকে তারা খিলগাঁও ১৫১/২/৩৭/২ তিলপাপাড়ার বাসার সামনে পৌঁছেন। চালক আরো বলেন, ওই বাড়িটি ইসরাইলের নিজের। কিন্তু সেখানে গাড়ি রাখার পার্কিং না থাকায় পাশের বাড়ির পার্কিং প্লেস ভাড়া নিয়ে সেখানে তারা গাড়ি রাখেন। পাশের বাসার পার্কিংয়ে গাড়ি রেখে বাবা-ছেলে টাকা ভর্তি ব্যাগটি নিয়ে পায়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন। গেট থেকে বের হতেই তিনটি মোটরসাইকেলে ছয়-সাতজন দুর্বৃত্ত তাদের ঘিরে ধরে। তারা কোনো কথা না বলে বাবা-ছেলেকে লক্ষ্য করে একাধিক অগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। তাদের ছোড়া গুলি ইসরাইলের ডান হাত, বাম পায়ের উরু ও ডান পায়ের হাঁটুতে বিদ্ধ হয়। তার ছেলে সায়মনের বুকে ও হাতে গুলি লাগলে তারা দুজনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তারা চিৎকার করলে কেউ এগিয়ে আসেনি। সন্ত্রাসীরা ইসরাইলের কাছে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে চলে যায়। পরে আহত দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় খিদমাহ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ৯ টায় চিকিৎসকেরা সায়মনকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, চিকিৎসাধীন ইসরাইলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। পারিবারিক সূত্র জানায়, ইসরাইল হোসেনের তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সায়মন সবার বড়। তিনি বাবা ইসরাইলের ব্যবসায় সহযোগিতা করে আসছিলেন। মাত্র কয়েক দিন আগে আলপনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করেন সায়মন। এ দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলছে শোকের মাতম। নিহত সায়মনের মা ও স্ত্রী বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। খিলগাঁও থানার এসআই লিয়াকত আলী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুর্বৃত্তরা যেহেতু টাকা ছিনিয়েছে বলে জানা গেছে সেহেতু বিষয়টি ছিনতাই বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে টাকা না নিয়ে থাকলে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে। ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment