সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে ভারতের মাটি যাতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার না হয় তার নিশ্চয়তা চাইবে বাংলাদেশ। দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় যৌথ পরামর্শ কমিটির (জেসিসি) সভায় যোগ দেয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বৈঠকে তিস্তা চুক্তি সই, সীমান্ত চুক্তি কার্যকর এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধÑ এই তিনটি ইস্যুকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানান তিনি। আগামীকাল শনি
বার অনুষ্ঠেয় জেসিসি বৈঠকে যোগ দিতে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ছাড়াও ছয়টি মন্ত্রণালয়ের সচিব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন। দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে মূল বৈঠকটি হবে। তবে এ সফরকালে মাহমুদ আলী ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন। ভারতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতবিনিময় হবে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই প্রথম দিল্লি সফর। মোদি সরকারের নেতৃত্বে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ২৫ থেকে ২৭ জুন ঢাকা সফর করে গেছেন। সারদা কেলেঙ্কারির অর্থ বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টিতে ব্যবহৃত হওয়ার অভিযোগটি জেসিসি বৈঠকে উত্থাপন করা হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে মাহমুদ আলী বলেন, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই সুরাহার দায়িত্বও ভারতের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত। তিনি বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ও সীমান্ত চুক্তির মতো অনিষ্পন্ন ইস্যুগুলো সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আরো গভীর ও শক্তিশালী করা সম্ভব। অনিষ্পন্ন ইস্যুগুলো সমাধানের ব্যাপারে বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসী কিনা জানতে চাওয়া হলে মাহমুদ আলী বলেন, ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। নিষ্পত্তির জন্য এ আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। অনিষ্পন্ন ইস্যু ছাড়াও জেসিসি বৈঠকে বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতা, উন্নয়ন সহযোগিতা, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংযোগ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, জনগণের মধ্যে সম্পৃক্ততা, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকা সফরকালে দুই দেশের সার্বিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নেতৃত্বে জেসিসি বৈঠক অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। ২০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জেসিসির তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জেসিসির দ্বিতীয় বৈঠকের পর থেকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনার পাশাপাশি সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র বের করার উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।
No comments:
Post a Comment