তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন, বর্তমানে ২৪টি পত্রিকা অষ্টম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন বিল পায়। এসব পত্রিকার মধ্য রয়েছে দৈনিক প্রথম আলো, বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কণ্ঠ, ইত্তেফাক, আমাদের সময়, যুগান্তর, জনকণ্ঠ, ভোরের পাতা, বর্তমান, ইনকিলাব, মানবজমিন, ডেইলি স্টার, দ্য নিউজ টুডে, দি বাংলাদেশ টুডে, দি ফিনানসিয়াল এক্সপ্রেস, দৈনিক বণিক বার্তা, নিউএজ, দি ইনডিপেনডেন্ট, দৈনিক আমার সংবাদ, ঢাকা
ট্রিবিউন, দি ডেইলি অবজারভার, দৈনিক খবর, ডেইলি সান ও দি নিউ নেশন। সংসদে গতকাল প্রশ্নোত্তরে মুস্তফা লুৎফুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী বলেন, অষ্টম মজুরি রোয়েদাদ-২০১৩ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সরকার সাংবাদিক, সাংবাদিক-শ্রমিক কর্মচারী ও সংবাদপত্রের মালিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে আট সদস্যের একটি মিনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। যার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রচার নীতিমালা মিডিয়ার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করবে মোহাম্মদ ইলিয়াছের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালায় জনগণের মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারে এমন বিষয় সন্নিবেশিত হয়নি। তবে সামাজিক নৈতিকতা, জাতীয় নিরাপত্তা ও নাগরিকদের অধিকার সম্মুন্নত রাখার বিষয়ে অধিকতর দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য সম্প্রচারের মাধ্যমগুলোর প্রতি প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা এই নীতিমালায় আছে। সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ও গেজেটে প্রকাশিত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা দেশের প্রথম দিক নির্দেশনামূলক নীতিমালা। এই নীতিমালা সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর স্বাধীনতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে মাধ্যমে সম্প্রচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও গতিশীল করবে এই নীতিমালা। মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬ এর ১৯ ধারার বিধি-নিষেধ সাপেক্ষে বিদেশী চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমতি প্রদান করা হয়। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০১০ এর ১০ নম্বর বিধির আওতায় গঠিত পরামর্শক কমিটির সুপারিশক্রমে বিদেশী চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমোদন দেয়া হয়। অনলাইন নীতিমালার খসড়া তৈরি হয়েছে মুহিবুর রহমান মানিকের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে অনলাইন পত্রিকা প্রকাশ ও প্রকাশনার কোনো নীতিমালা নেই। গণবান্ধব সহায়ক অনলাইন নীতিমালা প্রণয়নের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধান তথ্য কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে ‘অনলাইন গণমাধ্যম সহায়ক খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, মূল কমিটিকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির পরিচালক মোস্তফা জব্বারকে আহ্বায়ক করে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই উপ-কমিটি ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত নীতিমালার একটি খসড়া প্রণয়ন করে মূল কমিটিতে প্রেরণ করেছে। মূল কমিটি খসড়াটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
No comments:
Post a Comment