Wednesday, October 1, 2014

ঈদের পর হরতালসহ প্যাকেজ কর্মসূচি দেয়ার সিদ্ধান্ত:নয়াদিগন্ত

আসন্ন ঈদুল আজহার পরে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ইস্যুভিত্তিক নানা দাবিতে ‘প্যাকেজ কর্মসূচি’ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০ দলীয় জোট। কর্মসূচির মধ্যে থাকবে জনসভা, প্রতিবাদ সমাবেশ এবং প্রয়োজনে হরতাল।  এ ছাড়া হজরত মুহম্মদ সা: ও হজ নিয়ে সরকারের মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের আজ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন এই জোট।  গতরাতে বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বিএনপি চে
য়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ২০ দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।  জানা গেছে, বৈঠকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সাম্প্রতিক মন্তব্যে খালেদা জিয়াসহ জোট নেতারা তীব্র ােভ প্রকাশ করেন। তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলা হয়। আজ বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জোটের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরবেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  জানা গেছে, হিন্দু ধর্মের শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব চলায় লতিফ সিদ্দিকীর ‘ ধৃষ্টতাপূর্ণ’ মন্তব্য নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো কর্মসূচি দিচ্ছে না ২০ দলীয় জোট। তবে এই ইস্যুতে ইসলামিক দলগুলোর সব ধরনের কর্মসূচিতে সমর্থন থাকবে তাদের।  বৈঠকে ঈদের পর থেকে আন্দোলন আরো জোরাল করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জোটের নেতারা বলেছেন, জোটের আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে জনমনে হতাশা রয়েছে। বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় এনে কর্মসূচির ধরন পাল্টাতে হবে। হরতালসহ প্যাকেজ কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে চাপে রাখতে হবে।  বৈঠকে খালেদা জিয়া জোট নেতাদের জানিয়েছেন, কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে কঠোর হবে। ঈদের পর ঢাকার আশপাশে আরো কয়েকটি জনসভা হবে।  রাত ৯টায় এ বৈঠক শুরু হয়ে পৌনে ১১টা পর্যন্ত চলে। বৈঠকে শরিকদলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ এলডিপির কর্নেল অলি আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের আব্দুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের, বিজেপির সালাউদ্দিন মতিন প্রকাশ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) টি আই এম ফজলে রাব্বি, মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমিনুল ইসলাম, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, লেবার পার্টির ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ডেমোক্র্যাটিক লীগের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, মুসলিম লীগের জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) মো: আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

No comments:

Post a Comment