Monday, October 20, 2014

ঘুষ নেওয়ার অস্ত্র রিমান্ড:কালের কন্ঠ

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র রুবেলকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে রাজধানী ঢাকায়, ১৯৯৮ সালে। ওই ঘটনায় দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ডিবির কয়েকজন কর্মকর্তাকে। তাঁদের শাস্তিও দেওয়া হয়। ওই পরিপ্রেক্ষিতে ব্লাস্ট নামের একটি বেসরকারি সংস্থা হাইকোর্টে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের বৈধতার বিষয়ে রিট করে। ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল রিটের রায়ে বলা হয়, রিমান্ডের আগে ও
পরে আসামির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কি না, তা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও আইনজীবীর মাধ্যমে জানাতে হবে পুলিশকে। আইনজীবী বা পরিচিত কারো উপস্থিতিতে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। গোপন স্থানে জেরা করা যাবে না। উচ্চ আদালতের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নির্দেশ দিয়েছে, সংবিধানের ৩৩ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে বর্ণিত আটক ব্যক্তির মৌলিক মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশকে সচেষ্ট থাকতে হবে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় আসামিকে শারীরিক নির্যাতন করা যাবে না। জোর করে কিছু আদায় করা যাবে না। কিন্তু কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব নির্দেশ ও নির্দেশনা আমলেই নিচ্ছে না পুলিশ। রিমান্ডের নামে শারীরিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে এখনো। অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করেছে। অভিযোগ আছে, নিরপরাধ লোকজনকে ধরে রিমান্ডে নিয়ে নানা কায়দায় নির্যাতন করা হয়। রিমান্ডের নামে আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের উৎকোচ। টাকা না মিললে মধ্যযুগীয় কায়দায় চলে নির্যাতন। জানা গেছে, রিমান্ডে নিয়ে জেরার প্রথা অন্যান্য দেশেও আছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপানসহ উন্নত দেশগুলোতে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ধরন ভিন্ন। ওই সব দেশের পুলিশ আসামিদের মারধর করার চেয়ে মানসিক কৌশল প্রয়োগ করে তথ্য আদায় করে। তবে ভারত ও পাকিস্তানে বাংলাদেশের মতোই আসামিকে নির্যাতন করা হয়। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলেন, পুলিশের চেইন অব কমান্ড কায়েম করতে হবে। রাজনৈতিক ব্যবহারের কারণে কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করছে না পুলিশ। ফলে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ বাহিনী। তাদের কাজে সরকারের তথা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রভাব স্পষ্ট। ফলে উচ্চ আদালতের রায় বা সাংবিধানিক অধিকারের বিষয়ে তাদের উদাসীনতা লক্ষ করা যায়। আসামিদের প্রতি তাদের আচরণ মানবিক নয়। সরকারও এ ব্যাপারে তাদের সতর্ক করে না। এ সুযোগে রিমান্ডে নিয়ে আসামিদের সঙ্গে যাচ্ছেতাই আচরণ করা হচ্ছে। এ কারণে মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা কমছে। আর পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, সব প্রতিষ্ঠানেই কিছু দুষ্টু লোক আছে। পুলিশের মধ্যেও আছে। তবে গুটিকয়েক সদস্যের জন্য পুরো বাহিনীকে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না। আইন মেনেই পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। নিরপরাধ কাউকে ধরে হয়রানি করার সুযোগ নেই। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পরিস্থিতির কোনো রকম পর্যালোচনা ছাড়াই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অথচ সংবিধানের ৩৩ অনুচ্ছেদের ১ উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে যথাসম্ভব শিগগিরই গ্রেপ্তারের কারণ জানাতে হবে। কারণ না জানিয়ে আটকে রাখা যাবে না। ওই ব্যক্তিকে তার মনোনীত আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ ও তার মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। ২ উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে, গ্রেপ্তারকৃত ও প্রহরায় আটক ব্যক্তিকে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গ্রেপ্তারের বা আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে (গ্রেপ্তারের স্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নেওয়ার সময়ের বাইরে) হাজির করতে হবে। ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না; কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না। একই কথা বলেছেন উচ্চ আদালত। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, রিমান্ডে কিভাবে নির্যাতন করা হয়; আসামির কাছ থেকে কিভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। অনিচ্ছায় দেয় বলেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আদালতে দাঁড়িয়ে জবানবন্দি প্রত্যাহার করার আবেদন করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের দুর্নীতিবাজ সদস্যরা টাকা দিলে আসামিদের নির্যাতন করেন না। কিন্তু না দিলেই চলে অমানুষিক নির্যাতন। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, রাজধানীর মিরপুরে মিঠুন, উজ্জ্বল ও জামালকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গত রমজানে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে তুরাগের চণ্ডালভোগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ব্যবসায়ী মজিবুর রহমানকে। তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর হোসাইন অভিযোগ করেন, রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে এসআই খোকন ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার পর মজিবুরকে রিমান্ডে নেওয়া হয়নি। এমন শত শত লোক রিমান্ডের নামে হয়রানির শিকার হচ্ছে। কেউ কেউ নির্যাতনে মারাও যাচ্ছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার কালের কণ্ঠকে বলেন, নিয়মের মধ্যে থেকে রিমান্ডের আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোনো পুলিশ সদস্য আইন অমান্য করে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের চেইন অব কমান্ড নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। রাজনৈতিক কাজে পুলিশকে কোনোভাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে না। রিমান্ডে যেসব কায়দায় চলে নির্যাতন : আদালতের অনুমতি নিয়ে ঢাকায় বিভিন্ন মামলায় প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন আসামিকে রিমান্ডে নিচ্ছে পুলিশ। ঢাকার বাইরে মহানগর এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকেও রিমান্ডে নেওয়া হয়। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করার সময় নির্দেশ দিয়ে বলেন, সতর্কতার সঙ্গে যেন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শর্ত মেনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আসামিদের নিয়ে যান। কিন্তু পরে পুলিশ বা গোয়েন্দারা কোনো নির্দেশনার তোয়াক্কা করে না। রিমান্ডে নেওয়ার পর আসামি বা তার স্বজনদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয় বলে অসংখ্য অভিযোগ আছে। রিমান্ডে আসামিদের অন্তত ২০ উপায়ে নির্যাতন করা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। উপায়গুলো হচ্ছে ডিম থেরাপি (গরম বা প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ডিম আসামিদের মলদ্বারে ঢুকিয়ে নির্যাতন), ডিস্কো ড্যান্স (হাত-পায়ে অবিরাম ইলেকট্রিক শক দিয়ে নির্যাতন), সেলাই (হাত-পায়ের নকে মোটা সুই ঢুকিয়ে নির্যাতন), গিঁটা (হাত-পায়ের প্রতিটি জয়েন্টে লাঠিপেটা করা), বাদুড় ধোলাই (দুটি উঁচু টেবিলের মাঝখানে দুই হাত বেঁধে ঝুলিয়ে পেটানো), ওয়াটার থেরাপি (চিৎ করে ফ্লোরে ফেলে দুই হাত-দুই পা বেঁধে মুখে গামছা বা কাপড় ঢুকিয়ে মারধর করা হয় এবং আসামির নাকে-মুখে অনবরত পানি ঢালা হয়), ঝালমুড়ি (চোখ-মুখ ও নাকে শুকনো মরিচ লাগানো হয়, এর ফলে আসামির চোখে প্রচণ্ড জ্বালা হয়; অনেক সময় চোখ নষ্ট হয়ে যায়), টানা (পায়ের পাতায় বেধড়ক পিটিয়ে নির্যাতন), বাতাস পদ্ধতি (সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে নির্যাতন), উলঙ্গ করে নির্যাতন, সারা দিন না খাইয়ে নির্যাতন, বোতল থেরাপি প্রভৃতি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা : রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে প্রায় পাঁচ বছর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ নির্দেশনা পাঠায় পুলিশ সদর দপ্তরে। তাতে বলা হয়, নির্যাতন করে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। সংবিধানের ৩৩ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদ অনুসারে আটক ব্যক্তির মৌলিক অধিকার রক্ষায় পুলিশকে সচেষ্ট থাকতে হবে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় আসামিকে কোনো রকম শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না। মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়- এমন কাজ করা যাবে না। আসামির সঙ্গে শিষ্টাচারমূলক আচরণ করতে হবে। আসামি বা অভিযুক্ত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা যেমন হৃদরোগ, রক্তচাপ, মৃগীরোগ, জন্ডিস, শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি আছে কি না, তা আগে জেনে নিতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হাজতে কোনো আসামি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত চিকিৎসা দিতে হবে। বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে থানা থেকে আসামিকে আদালতে নেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে না পড়ে। নারী আসামিদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক ও মাতৃসুলভ আচরণ করতে হবে। থানা-হাজতে আটক ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের খাবারের প্রতি যত্ন নিতে হবে। অন্য কোনো সংস্থা আসামি গ্রেপ্তার করলে সে আসামির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। গ্রেপ্তারের সময় অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা যাবে না। এ নির্দেশনা বাস্তবে মানা হচ্ছে না। উচ্চ আদালতের আদেশ : ১৯৯৮ সালে ঢাকায় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র রুবেলকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার পর ব্লাস্ট নামের একটি বেসরকারি সংস্থা হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট করে। ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বলা হয়, কাউকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করলে তাৎক্ষণিকভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আইনজীবী বা পরিচিত কারো উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। গ্রেপ্তারের আগে তার শরীরে চিহ্ন থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসককে দেখাতে হবে। জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে চিকিৎসককে অবহিত করতে হবে। গোপন জায়গায় জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। সর্বোচ্চ তিন দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করবেন। বোর্ডের রিপোর্টে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশ বা কারা হেফাজতে মারা গেলে ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাতে হবে এবং ময়নাতদন্ত করাতে হবে। কিন্তু কোনোটিই আমলে নেয়নি পুলিশ। বিশেষজ্ঞদের কথা : মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডক্টর মিজানুর রহমান বলেন, যেসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘন করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নইলে আইনের শাসন নিশ্চিত হবে না। পুলিশকে জবাবদিহির আওতায় রাখতে হবে সব সময়। রিমান্ডের নামে নির্যাতন করা যাবে না। এমন কাজ করা যাবে না, যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ডক্টর শাহদীন মালিক কালের কণ্ঠকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার ও গুম করে মানুষ হত্যা করছে। এ বাহিনীর কাছ থেকে কোনো কিছু আশা করা যায় না। তারা হাইকোর্টের আদেশ বা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশও মানছে না। রিমান্ডের নামে আসামিদের নির্যাতন করছে। রাজনৈতিক নেতাদের চোর-বাটপারদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে তোয়াক্কা করে না। তবে এসবের খেসারত সবাইকে একদিন না একদিন দিতেই হবে। তিনি বলেন, রিমান্ডে থাকা আসামিদের সঙ্গে যাচ্ছেতাই আচরণ করছে পুলিশ। সংবিধান, আইন মানা হচ্ছে না। অতি উৎসাহী হয়ে এক শ্রেণির পুলিশ এসব করছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পুলিশকে হতে হবে জনগণের বন্ধু। টাকার কাছে বিক্রি হওয়া যাবে না। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ বলেন, পুলিশের চেইন অব কমান্ডে ঘাটতি আছে বলে মনে হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে অনেক সময় পুলিশ রিমান্ডের আসামিদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। রিমান্ডের নামে টাকা নেওয়া নতুন কিছু নয়। যারা নির্দেশ মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। উন্নত রাষ্ট্রে কিন্তু শারীরিক নির্যাতন করে তথ্য আদায় করা হয় না। মানসিক কৌশলে তাদের কাছ থেকে তথ্য আদায় করা হয়।

No comments:

Post a Comment