আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি বাজারে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছয় ঘণ্টাব্যাপী ফের সংঘর্ষে দুই পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন। অগ্নিসংযোগ, হামলা ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯টি পরিবার। গত শুক্রবার থেকে বাজারে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে কলাকান্দি ও হারাইর কান্দির লোকজন বাজারে উঠলে দুই পক্ষের
মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়, পরে পরিস্থিতি ব্যাপক সংঘর্ষে রূপ লাভ করে। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ একাংশের সভাপতি হাবিবউল্লাহ বাহার সমর্থিত মহিলাসহ ১২ জন ও যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম সরকার সমর্থিত ১৩ জন আহত হয়। এ ছাড়া অগ্নিসংযোগ, হামলা ও লুটপাটে ৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ও আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ২৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে। সকালে কলাকান্দি ও হারাইর কান্দির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে হারাইরকান্দির সাথে কালাচান কান্দির লোকজন যোগ দেয়। এতে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। উভয় পক্ষ দা, ছুরি, টেঁটা, বল্লম, লাঠি ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলায় জড়িয়ে পড়ে। যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম গ্রুপের শফিকের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা বাহার গ্রুপের শাহ আলম আহত হয়েছে বলে বাহার দাবি করেন। তবে ইব্রাহিম এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। অন্য আহতরা হলোÑ পরিষ্কার বেগম (৫৫), ফজলু (৪০), দিদার (৩৭), ফয়সাল (১৯), সাবিকুল (৩০), পারভেজ (২২), মমিন (৩২), মালেক (৫০), জসিম (৩৫), রাসেল (২৫), শাহ আলম (৪০), রুফিয়া (৪৫), মনু মিয়া (৩৫), আল আমিন (২৫), তৌফিক (২২), শরীফ (২৫), সবুজ (২০), রুবেল (২২), মকবুল (১৪), খোকন (৩৫), নাবিজিল (৪০), কাদির (১৮), আবদুল (১৮) ও নাছরিন (১৫)। অগ্নিকাণ্ড, হামলা ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শাহজাহান, স্বজল, আলী, ফারুক, বাতেন, সেকান্দর, আজারুল, জহির ও রাজমহল। হামলা-সংঘর্ষ চলাকালে অসুস্থ রোগী, পথচারী, বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জিম্মি হয়ে পড়েন। তারা প্রায় ছয় ঘণ্টা বিভিন্ন বাড়িঘরে অবস্থান নেয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ২৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে বলে ওসি তারেক মো: আ: হান্নান জানিয়েছেন। উভয় গ্রুপের কয়েক হাজার লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহতদের বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment