কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, জনগণের ঐক্য হচ্ছে না কারণ তাদের মধ্যে বিভেদ জিইয়ে রাখা হচ্ছে। নতুন নতুন বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে। তিনি দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে জনগণের শক্তি নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানান। তারই অংশ হিসেবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর একসাথে স্মৃতিসৌধে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেই ঐক্যের সূচনা করার আহ্বান জানান তিনি। সত্যিকারার্থে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্মৃতিসৌধে যওয়ার আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি ড. কামাল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তাদেরকে জনগণের শক্তি নিয়ে ঐক্য করার পরামর্শ দেন। তিনি বড় দলকেও তার ডাকে ঐক্যবিমুখ না হতে পরামর্শ দেন। দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাসের জন্ম নাটোর জেলার লালপুরের দুয়ারিয়া গ্রামে। তিনি বনপাড়া সেন্ট যোসেফ স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। এর পর পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে বিভিন্ন শাসনামলে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের মাধ্যমে তার জন্মস্থানসহ পুরো এলাকায় বিশেষ করে হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ত্রাস সৃষ্টি করে, তাদের বাড়িঘর দখল করে বিভিন্ন সময়। এই বাহিনীর নাম হচ্ছে জার্জিস বাহিনী। এ দিকে ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী বলে পরিচিত দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাস ছাত্রজীবন শেষ না করেই ওই জার্জিস বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনিসহ সব ধরনের লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন। দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাস ও তার পরিবারও নিজ এলাকায় থাকতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে দীর্ঘ সংগ্রামে জড়িয়ে গত বছর ৮ জুলাই দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাস ব্রেইনস্ট্রোকে ভেড়ামাড়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাসের সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমলেই হিন্দুদের দেশ ছাড়ার ঘটনা লজ্জাজনক। জার্জিস বাহিনীকে এখনো স্থানীয় এমপি প্রশাসনের দ্বারা সহযোগিতার খবরে নিন্দা জানিয়ে রনো বলেন, এ আমলেই যখন হিন্দুরা দেশ ত্যাগ করছে, তখন আওয়ামী লীগ কী করে বলে তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী? কী করে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে? এসব ঘটনার পর তো বলতে হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা আওয়ামী লীগের ভণ্ডামি। একই অনুষ্ঠানে প্রবীণ রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টচার্য্য বলেন, বর্তমান সরকার দখলবাজদের লালন করছে। এরা কায়েমি আমলাদের হাতে বন্দী। ভূমিদস্যু ব্যাংক ডাকাতসহ ক্রাইম সিন্ডিকেটের হাতে বন্দী। তিনি দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাসের মতো লড়াই করে বাংলাদেশ না ত্যাগ করতে হিন্দুদের পরামর্শ দেন। এভাবে দেশ ত্যাগ করা চলবে না, প্রতিরোধ করতে হবে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাসের মা বক্তব্য রাখেন।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Friday, November 14, 2014
চলুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিটিং করি দেখি কে বাধা দেয় : ড. কামাল:নয়াদিগন্ত
কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, জনগণের ঐক্য হচ্ছে না কারণ তাদের মধ্যে বিভেদ জিইয়ে রাখা হচ্ছে। নতুন নতুন বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে। তিনি দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে জনগণের শক্তি নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানান। তারই অংশ হিসেবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর একসাথে স্মৃতিসৌধে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেই ঐক্যের সূচনা করার আহ্বান জানান তিনি। সত্যিকারার্থে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্মৃতিসৌধে যওয়ার আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি ড. কামাল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তাদেরকে জনগণের শক্তি নিয়ে ঐক্য করার পরামর্শ দেন। তিনি বড় দলকেও তার ডাকে ঐক্যবিমুখ না হতে পরামর্শ দেন। দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাসের জন্ম নাটোর জেলার লালপুরের দুয়ারিয়া গ্রামে। তিনি বনপাড়া সেন্ট যোসেফ স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। এর পর পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে বিভিন্ন শাসনামলে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের মাধ্যমে তার জন্মস্থানসহ পুরো এলাকায় বিশেষ করে হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ত্রাস সৃষ্টি করে, তাদের বাড়িঘর দখল করে বিভিন্ন সময়। এই বাহিনীর নাম হচ্ছে জার্জিস বাহিনী। এ দিকে ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী বলে পরিচিত দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাস ছাত্রজীবন শেষ না করেই ওই জার্জিস বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনিসহ সব ধরনের লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন। দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাস ও তার পরিবারও নিজ এলাকায় থাকতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে দীর্ঘ সংগ্রামে জড়িয়ে গত বছর ৮ জুলাই দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাস ব্রেইনস্ট্রোকে ভেড়ামাড়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাসের সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমলেই হিন্দুদের দেশ ছাড়ার ঘটনা লজ্জাজনক। জার্জিস বাহিনীকে এখনো স্থানীয় এমপি প্রশাসনের দ্বারা সহযোগিতার খবরে নিন্দা জানিয়ে রনো বলেন, এ আমলেই যখন হিন্দুরা দেশ ত্যাগ করছে, তখন আওয়ামী লীগ কী করে বলে তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী? কী করে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে? এসব ঘটনার পর তো বলতে হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা আওয়ামী লীগের ভণ্ডামি। একই অনুষ্ঠানে প্রবীণ রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টচার্য্য বলেন, বর্তমান সরকার দখলবাজদের লালন করছে। এরা কায়েমি আমলাদের হাতে বন্দী। ভূমিদস্যু ব্যাংক ডাকাতসহ ক্রাইম সিন্ডিকেটের হাতে বন্দী। তিনি দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাসের মতো লড়াই করে বাংলাদেশ না ত্যাগ করতে হিন্দুদের পরামর্শ দেন। এভাবে দেশ ত্যাগ করা চলবে না, প্রতিরোধ করতে হবে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাসের মা বক্তব্য রাখেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment