Tuesday, January 20, 2015

এবার বন্ধ হোয়াটসঅ্যাপ, মাইপিপল ও লাইন:প্রথম অালো

ভাইবার ও ট্যাঙ্গোর পর হোয়াটসঅ্যাপ, মাইপিপল ও লাইন নামের আরও তিনটি ভয়েস এবং মেসেজিং সেবা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। বিটিআরসি ও টেলিকম অপারেটর সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভাইবার ও ট্যাঙ্গো বন্ধের সময়সীমা ২১ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। বিটিআরসির পরিচালক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। মুঠোফোন কোম্পানি গ্রামীণফোন গতকাল সো
মবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেলা দুইটা ৫৯ মিনিটে বিটিআরসির কাছ থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা পেয়েছে। আরেক মুঠোফোন কোম্পানি রবির মুখপাত্র মহিউদ্দিন বাবর প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থার যেকোনো সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে চলতে হয়। সে অনুসারে ব্যবস্থা নিতে হয়।’ এর আগে গত শনিবার রাতে বিটিআরসির পরিচালক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা সব মুঠোফোন অপারেটর ও আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্সধারীর কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠান। প্রথমে রোববার ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সেবা দুটি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে রোববার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এই সেবা বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও ভাইবার বা ট্যাঙ্গো চালু হয়নি। পরে সোমবার দুপুরে ভাইবার-ট্যাঙ্গো বন্ধের সময়সীমা বাড়ানো এবং নতুন করে আরও তিনটি সেবা বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেয়। বিটিআরসি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিনা খরচে কথা বলা এবং নিজেদের অবস্থান গোপন রেখে কথা বলার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সাম্প্রতিক সময়ে যোগাযোগের জন্য ভাইবার ব্যবহার করেন। এমনকি নাশকতার কাজেও প্রয়োজনীয় যোগাযোগ সারা হচ্ছে ভাইবার ব্যবহার করে। এ ব্যাপারে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেবা দুটি বন্ধে বিটিআরসির সহায়তা চায়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিটিআরসি থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয় মুঠোফোন কোম্পানি ও আইজিডব্লিউগুলোর কাছে। সে অনুযায়ী শনিবার রাত থেকে ভাইবার ও ট্যাঙ্গো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ, লাইন ও মাইপিপল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে গেছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। সে কারণে তাদের পক্ষ থেকে ভাইবার ও ট্যাঙ্গো বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়ানো এবং নতুন তিনটি সেবা বন্ধের অনুরোধ আসে। সে পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসির নতুন নির্দেশনাটি আসে। বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তে বিভিন্ন অনলাইন, ফেসবুকসহ সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ব্যবহারকারীরা। বাংলাদেশে ভাইবার বন্ধ হওয়ার এই খবর ইতিমধ্যে এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য হিন্দুর মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment