তু গতকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে প্রথম ধাপের তিন দিনের ইজতেমা শুরু হচ্ছে। রোববার দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে। এরপর ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইজতেমার শেষ দিন রোববারের জন্য অবরোধ কিছুটা শিথিল করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ওই দিন বিকেলে অথবা পরদিন সোমবার রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করার জন্য বিএনপির নেতাদের একটি অংশ এবং ২০-দলীয় জোটের কয়েকটি শরিক দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাবের কথা ইতিমধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। অবরোধ শিথিল করার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ইজতেমায় আমরাও অংশ নিই। লোকজনও চাচ্ছে অবরোধ শিথিল করা হোক। এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত না হলেও শিথিল করার চিন্তাভাবনা হচ্ছে।’ তবে তিনি দাবি করেন, দেশজুড়ে কার্যকর অবরোধ হচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় অবরোধের কার্যকারিতা উৎসাহব্যঞ্জক। এদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বরাত দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, দুঃশাসনের অবসান ও বিপন্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। এর আগে সকালে দলের আরেক যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অবরোধ অব্যাহত থাকবে বলে সাংবাদিকদের জানান। আত্মগোপনে থেকে বারিধারার একটি বাসায় কয়েকজন সাংবাদিককে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে সরকারের দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে। বুধবারও তিনজন নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, যতক্ষণ পর্যন্ত দমন-পীড়ন বন্ধ করা না হবে, সমাবেশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া না হবে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মানা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অবরোধ চলবে।’ দলীয় সূত্রগুলো জানায়, গত চার দিনের অবরোধে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক-বর্তমান শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতার নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে দলের ভেতরে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে অবরোধে রাজধানী ঢাকায় তেমন প্রভাব না পড়ায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব অসন্তুষ্ট। সড়কপথে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকলেও রেল ও নৌপথে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। এসব কারণে দলের ঢাকা মহানগর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতাকে খালেদা জিয়া অবরোধ সফল করতে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত বিএনপির নেতারা মনে করছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় রাজধানীতে অবরোধের প্রভাব পড়ছে না। এ জন্য অবরোধের পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে হরতাল ডাকার চিন্তা করা হচ্ছে। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার এবং শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নামে মামলার প্রতিবাদে হরতাল ডাকা হতে পারে বলে জানান ঢাকা মহানগর বিএনপির দুজন নেতা।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Friday, January 9, 2015
‘অসন্তুষ্ট’ বিএনপি, তবু অবরোধ চালিয়ে যাবে:প্রথম অালো
তু গতকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে প্রথম ধাপের তিন দিনের ইজতেমা শুরু হচ্ছে। রোববার দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে। এরপর ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইজতেমার শেষ দিন রোববারের জন্য অবরোধ কিছুটা শিথিল করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ওই দিন বিকেলে অথবা পরদিন সোমবার রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করার জন্য বিএনপির নেতাদের একটি অংশ এবং ২০-দলীয় জোটের কয়েকটি শরিক দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাবের কথা ইতিমধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। অবরোধ শিথিল করার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ইজতেমায় আমরাও অংশ নিই। লোকজনও চাচ্ছে অবরোধ শিথিল করা হোক। এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত না হলেও শিথিল করার চিন্তাভাবনা হচ্ছে।’ তবে তিনি দাবি করেন, দেশজুড়ে কার্যকর অবরোধ হচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় অবরোধের কার্যকারিতা উৎসাহব্যঞ্জক। এদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বরাত দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, দুঃশাসনের অবসান ও বিপন্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। এর আগে সকালে দলের আরেক যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অবরোধ অব্যাহত থাকবে বলে সাংবাদিকদের জানান। আত্মগোপনে থেকে বারিধারার একটি বাসায় কয়েকজন সাংবাদিককে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে সরকারের দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে। বুধবারও তিনজন নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, যতক্ষণ পর্যন্ত দমন-পীড়ন বন্ধ করা না হবে, সমাবেশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া না হবে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মানা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অবরোধ চলবে।’ দলীয় সূত্রগুলো জানায়, গত চার দিনের অবরোধে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক-বর্তমান শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতার নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে দলের ভেতরে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে অবরোধে রাজধানী ঢাকায় তেমন প্রভাব না পড়ায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব অসন্তুষ্ট। সড়কপথে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকলেও রেল ও নৌপথে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। এসব কারণে দলের ঢাকা মহানগর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতাকে খালেদা জিয়া অবরোধ সফল করতে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত বিএনপির নেতারা মনে করছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় রাজধানীতে অবরোধের প্রভাব পড়ছে না। এ জন্য অবরোধের পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে হরতাল ডাকার চিন্তা করা হচ্ছে। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার এবং শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নামে মামলার প্রতিবাদে হরতাল ডাকা হতে পারে বলে জানান ঢাকা মহানগর বিএনপির দুজন নেতা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment