Tuesday, March 24, 2015

দক্ষিণে খোকন–সেলিম দুজনই অনড়:প্রথম অালো

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত দুই প্রার্থীর কেউই সরতে চাইছেন না। সাঈদ খোকন ও সাংসদ হাজি সেলিম নির্বাচন করার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছেন। বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা থাকায় এই দুজনের কাকে সমর্থন দেওয়া হবে, তা নিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায় এখনো দ্বিধায় রয়েছে। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দক্ষিণের প্রার্থী হিসেবে হাজি সেলিমকে দলীয় সমর্থন দেওয়া না-দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা
হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হলেও আনিসুল হকের ব্যাপারে মন্ত্রীরা কেউ দ্বিমত প্রকাশ করেননি। ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক মেয়র পদে গতকাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এদিকে দলের সাবেক সাংসদ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র কিনবেন। তিনি মেয়র পদে লড়বেন বলে গতকাল রাতে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে উত্তর সিটি থেকে এ পর্যন্ত মেয়র পদে ১৩, কাউন্সিলর পদে ২৬৯ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬২ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর দক্ষিণে মেয়র পদে নয়জন, কাউন্সিলর পদে ৫২৫ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০২ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটিতে ভোট হবে। ২৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ রয়েছে। ১ ও ২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। সাঈদ খোকনের ঋণ প্রসঙ্গ: রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর ২১ কাঠা জমি এবং তার ওপর একটি অব্যবহৃত বাড়ির বিনিময়ে শতকোটি টাকার ব্যাংকঋণ পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকন। ঋণদাতা বেসরকারি প্রিমিয়ার ব্যাংককে এই জমি ও বাড়ি দিয়ে সাঈদ খোকন ঋণ সমন্বয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জমি ও বাড়ি বুঝে নিয়েছে। সমন্বয়ের বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জানতে চাইলে সাঈদ খোকন ঋণ সমন্বয়ের প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সই করেছেন। ঋণ পরিশোধের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আজই তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন। সম্প্রতি প্রিমিয়ার ব্যাংকের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে যে চিঠি পাঠানো হয়, তাতে সাঈদ খোকনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এস অ্যান্ড এস করপোরেশন এবং তাঁর মায়ের মালিকানাধীন ডি ডি করপোরেশনের কাছে ১০৩ কোটি টাকা ঋণখেলাপের কথা বলা হয়েছে। এর বাইরে ব্যাংক নিশ্চয়তা বাবদ আরও প্রায় ১৫ কোটি টাকার দায় রয়েছে সাঈদ খোকনের। জানতে চাইলে প্রিমিয়ার ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু হানিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, জমি ও বাড়ির বিনিময়ে সাঈদ খোকনের অনাদায়ি ঋণ সমন্বয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

No comments:

Post a Comment