Tuesday, March 31, 2015

ইয়েমেনে সৌদি অভিযানে সমর্থন বাংলাদেশের:প্রথম অালো

ইয়েমেনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়-সমর্থিত বৈধ সরকারকে ফিরিয়ে আনতে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন প্রয়াসে সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটিতে শিয়াপন্থী হুতি বিদ্রোহীদের রাজধানী সানা নিয়ন্ত্রণেরও কঠোর নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সৌদি সরকারের অব্যাহত অনুরোধের পর বাংলাদেশ এ অবস্থান নিয়েছে বলে রিয়াদের একটি কূটনৈতিক সূত্র গতকাল সোমবার রাতে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলে
াতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার, সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের কল্যাণ ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি সমর্থনের বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলোর জোট গত সপ্তাহ থেকে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের দমনে বিমান হামলা চালাচ্ছে। এ অভিযানে সমর্থন আদায়ে কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়ে আসছে সৌদি সরকার। সৌদি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীকে টেলিফোনে সমর্থনের বিষয়ে অনুরোধ জানান। এ ছাড়া সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসেও অনুরোধ জানানো হয়। এ সময় সৌদি কর্তৃপক্ষ ইয়েমেনে সুন্নিপন্থী আবেদরাব্বো মানসুর হাদির বৈধ সরকারের কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তাদের নেতৃত্বাধীন অভিযানের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন চায়। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ইরাককে সমর্থন জানিয়েছিল ইয়েমেন। আরব দেশটির এ অবস্থানের কারণে সৌদি আরব সে দেশে কর্মরত ইয়েমেনের প্রায় ১০ লাখ লোককে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ফেরত পাঠায়। কুয়েতে কর্মরত ইয়েমেনের নাগরিকদেরও একই পরিণতি হয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে সে সময় কুয়েত ও সৌদি আরবে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবেদরাব্বো মানসুর হাদির বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে হুতি বিদ্রোহীদের অভিযানের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। ইয়েমেনের জনগণের ওপর হামলার মাধ্যমে সৃষ্ট মানবিক সংকটেরও বাংলাদেশ নিন্দা জানায়। ইয়েমেনের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো এবং দেশটির বৈধ কর্তৃপক্ষের ক্ষমতায় পুনর্বহালের পাশাপাশি সে দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা সমুন্নত রাখতে সৌদি আরবের সব ধরনের প্রয়াসকে বাংলাদেশ সমর্থন করে। উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের (জিসিসি) রূপরেখা, ন্যাশনাল ডায়ালগ কনফারেন্সের ফলাফল এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব অনুসরণ করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

No comments:

Post a Comment