Thursday, April 30, 2015

নির্বাচনে অনিয়ম, পুলিশি ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ:কালের কন্ঠ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার উত্তরা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের পরিস্থিতি দেখতে ভোটগ্রহণের দিন গত মঙ্গলবার সেখানে যান কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষক। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি রফিকুল ইসলাম কেন্দ্রে ঢুকতে নিষেধ করেন সবাইকে। অনুমতিপত্র দেখিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করা হলে ওসি রফিকুল একপর্যায়ে জোর করেই পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। একই দিন খিলগাঁও গভ. স্টাফ কোয়ার্টার হাই
স্কুলে বিএনপি সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিন যুবক। খিলগাঁও থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোজাম্মেল কেন্দ্রে গিয়ে ওই তিন এজেন্টকে অন্য একটি কক্ষে আটকে রাখেন। দুই ঘণ্টা পর তাঁদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, তাঁর সহায়তায় শাসকদলের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে সিল মারতে থাকে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে। এমনকি পুলিশের সামনেই অস্ত্রের মহড়া দেয় সরকার সমর্থক মেয়র ও কমিশনার পদপ্রার্থীর ক্যাডাররা। সে সময় পুলিশকেও তাদের সহযোগীর ভূমিকায় দেখা যায়। এ দুটি ঘটনার মতোই ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্র দখল ও জাল ভোট দিতে পুলিশ সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী জোটের প্রার্থী ও তাঁদের এজেন্টদের আটক করে নানাভাবে হয়রানিও করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও গণমাধ্যমকর্মীদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে গণহারে। আবার কারো কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করেছে পুলিশ। কিন্তু বহিরাগতদের ব্যাপারে পুলিশ কর্তাদের অতিনমনীয় ভাব সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এমনকি প্রিসাইডিং অফিসারদের পর্যন্ত শাসন করেছেন পুলিশের কিছু কর্মকর্তা। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, পুলিশ নিয়মের মধ্যে থেকেই তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। গণমাধ্যমকর্মীদের কেন্দ্রে যেতে বিধিনিষেধ ছিল না। কোনো পুলিশ সদস্য যদি সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ বা হয়রানি করে থাকেন, তাহলে তদন্তপূর্বক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুষ্ঠুভাবেই সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে- দাবি করে তিনি বলেন, কেন্দ্র দখল বা জাল ভোট প্রদানে পুলিশ সহায়তা করতেই পারে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ নিরলস কাজ করেছে বলেও দাবি তাঁর। জানা যায়, ভোটের আগের দিন সোমবার রাতে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে কয়েকটি স্থানে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা দেখেও না দেখার ভান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর নির্বাচনের দিন পুলিশের ভূমিকা ছিল আরো প্রশ্নবিদ্ধ। ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে শাসকদলের নেতাকর্মীদের বুথে অবাধ যাতায়াত ও দখলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে পুলিশ। কিছু স্থানে পুলিশ 'নিরপেক্ষ' থাকার চেষ্টা করলে তাদের 'শাসনও' করা হয়েছে। আবার ওপরের মহল থেকে পুলিশের কর্তাব্যক্তিদের কাছে দিকনির্দেশনা আসার পর পুলিশের আচরণে পরিবর্তনও দেখা গেছে। ঢাকার বাইরে থেকে যেসব পুলিশ সদস্য এসেছেন, তাঁদের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন সংবাদকর্মী থেকে শুরু করে অনেক প্রার্থী। বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশের বাড়াবাড়ির একাধিক দৃশ্য দেখা গেছে। এর ফলে শাসকদলের নেতাকর্মীরা ছিল বেপরোয়া। পুলিশের সামনেই ব্যালট পেপারে সিল মেরেছে। আবার কেউ কেউ অস্ত্র নিয়ে ঘুরেছে। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা দক্ষিণের টিঅ্যান্ডটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে ঢোকে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাত-আট যুবক। এ সময় ঢাকার বাইরে থেকে আসা পুলিশের এক এসআই এগিয়ে যান। পরে দেখেন এরা সবাই শাসকদলের নেতাকর্মী। তিনি আর সামনে না গেলে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে ধমক দিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর শখানেক ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায় ওই যুবকরা। তারা পুলিশের সামনেই ইলিশ মাছ ও ঠেলাগাড়ির পক্ষে সিল মারতে থাকে। এ সময় এই প্রতিবেদক এসআইয়ের কাছে নাম জানতে চাইলে তিনি খেপে যান। তাঁর বুকে নেমপ্লেট থাকার কথা। কিন্তু তিনি তা খুলে রাখেন। একপর্যায়ে এসআই বলতে থাকেন, ভাই আপনার কাজে আপনি যান। আপনাকে কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে কে? নির্বাচন কমিশনের অনুমতি আছে- এ কথা বললে তিনি আরো খেপে ওঠেন। একপর্যায়ে যুবলীগের কিছু কর্মী এসে বলতে থাকে, ভাই আপনি চলে যান। আর না হয় বুঝতেই পারছেন। তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল পরিদর্শনে গেলে শাসকদলের নেতাকর্মী তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি পুলিশের সহায়তা চাইলে কেউ এগিয়ে আসেনি। উল্টো এক সাব-ইন্সপেক্টর তাবিথকে বলতে থাকেন, ঝামেলা এড়াতে কেন্দ্র ত্যাগ করাই ভালো। পরে তাবিথ কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। তা ছাড়া ওই এসআই মিডিয়ার কর্মীদেরও ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাম্যানদের ৪০০ গজের মধ্যে থাকতে নিষেধ করে পুলিশ। ঢাকা দক্ষিণের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের যাত্রাবাড়ী পঞ্চায়েত কমিউনিটি সেন্টারে শাসকদলের লোকজনকে পুলিশের সামনেই অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে। কেন্দ্র দখল করে তারা পছন্দের প্রার্থীর মার্কায় সিল মেরেছে। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা দখলবাজদের সহায়তা করেছেন। বদরুন্নেছা মহিলা কলেজেও একই অবস্থা দেখা গেছে। কেন্দ্রের কক্ষ দখল করে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে জোর করে সিল মারলেও পুলিশ কিছুই বলেনি। খিলগাঁও মডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পুলিশের উপস্থিতিতে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তা ছাড়া খিলগাঁও থানার এসআই রবিউল ইসলামসহ অন্তত ১০-১২ সদস্য খিলগাঁও মডেল স্কুল, খিলগাঁও গার্লস কলেজে বিরোধী জোটের প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তা ছাড়া মিডিয়ার কর্মীদেরও কেন্দ্রের ভেতর ঢুকতে দেননি তাঁরা। দক্ষিণের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নেছার উদ্দিন কাজল কালের কণ্ঠকে বলেন, পুলিশ আমার এজেন্ট ও সমর্থকদের মারধর করে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। তারা শাসকদলের নেতাকর্মীকে দিয়ে কেন্দ্র দখল করিয়েছেন। আমার বিজয় ছিনিয়ে ছিনিয়েছেন তাঁরা। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার অনুরোধ, তদন্ত করে পুনরায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। ভোটের দিন দুপুর ১২টায় মহাখালী আমতলী ওয়েলফেয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শাসকদলের লোকজনকে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সিল মারতে দেখা গেছে। উত্তরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে উষা বিদ্যানিকেতনেও একই অবস্থা দেখা গেছে। উভয় ক্ষেত্রেই পুলিশকে দর্শক বা সহযোগীর ভূমিকায় দেখা গেছে। সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ে পুলিশ যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে কেন্দ্র দখলে সহায়তা করেছে। এখানেও মিডিয়ার কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। উত্তর কাফরুল হাই স্কুল কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মাহমুদ বেগম ক্রিক তাঁর দলবল নিয়ে যান। পুলিশ বাধা দিলে তারা হামলা চালায়। এ সময় কনস্টেবল লিয়াকতের ডান হাত ভেঙে যায়। পরে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাসহ পাঁচজনকে আটক করে। এদিকে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণে গেলে পুলিশ ও শাসকদলের নেতাকর্মীর হামলায় প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার সুজয় মহাজন, মোস্তাক আহমেদ, যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার ওবায়েদ অংশুমান, একই পত্রিকার সিনিয়র ফটো সাংবাদিক শামীন নূর, যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার আখলাক সাফা, ৭১ টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার আজাদ তালুকদার ও ক্যামেরাপারসন জহিরুল ইসলামসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। মোহাম্মদপুর থানার এসআই উত্তম কুমার উত্তরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মিডিয়ার কর্মীরা সেখানে গেলে সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন তিনি। লালবাগে একটি কেন্দ্রে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলায় লালবাগ থানার ওসি ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) প্রিসাইডিং অফিসারকে শাসিয়েছেন বলে অভিযোগ এসেছে। বহিরাগতদের রুখতে ব্যর্থ পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার ঘোষণা দেওয়ার পরও বহিরাগতদের বের করতে পারেনি পুলিশ। কোনো আবাসিক হোটেলে অভিযানও চালানো হয়নি। শুধু মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল হোটেল মালিক ও ম্যানেজারদের। দুই দিন ধরে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এসেছে। তা ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীও এসেছে। এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, পুলিশের ওপর চাপ ছিল যেন শাসকদলের নেতাকর্মীকে সহায়তা করা হয়। মিডিয়ায় যাতে কোনো দৃশ্য না আসে সে জন্য ভেতরে ঢুকতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তিনি আরো বলেন, তিন দিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির অন্তত শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অনেকই ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আবার কাউকে গতকাল ছেড়ে দেওয়া হয়। বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে- পুলিশের প্রতিবেদন : ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সর্থকদের মধ্যে দু-একটি বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়েছে। আর বিভিন্ন কেন্দ্রে পুলিশ সঠিকভাবেই দায়িত্ব পালন করেছে। পুলিশের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে। নির্বাচনে দুই সিটিতে মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ছিল বিএনপির পূর্বপরিকল্পনার অংশ। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপকমিশনার (ডিসি) জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, 'দুই সিটির এক হাজার ৯৮২টি কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর ছিল। নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দিতে কোথাও বাধা দেওয়া হয়েছে, এমন লিখিত অভিযোগ এখনো আমরা পাইনি। নির্বাচনের সময় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ কোনো অভিযোগ করলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তার ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ সঠিকভাবেই দায়িত্ব পালন করেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। কোনো বিচ্যুতির অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি।' প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকাল ৮টা থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল। কিন্তু কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। সে সময় সবগুলো কেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন হচ্ছিল, যা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার সঙ্গে মোটেও সংগতিপূর্ণ নয়। অতএব প্রতীয়মান হয় যে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দলটির পূর্বপরিকল্পনার অংশ। আর ভোটকেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এজেন্ট মোতায়েন করবেন কি না, সেটি সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীদের ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কোনো ভূমিকা নেই। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও বর্জন রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়।

No comments:

Post a Comment