Saturday, July 19, 2014

রাজশাহীর ঈদবাজারে নারীদের মন কেড়েছে বালুচুড়ি:নয়াদিগন্ত

ঈদকে কেন্দ্র করে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বিপণিবিতান ও শপিংমলগুলো ক্রেতাদের পদচারণায় বেশ জমে উঠেছে। ঈদে নারীদের জন্য একটি সুন্দর শাড়ি না হলেই নয়। তাই ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে নিজের জন্য স্বতন্ত্র শাড়ির খোঁজও বাড়ছে। আর এবার ঈদে রাজশাহীর নারীদের মন কেড়েছে টাঙ্গাইলের বালুচুড়ি ও ভারতের চেন্নাই জর্জেট। নগরীর সাহেববাজার, নিউমার্কেট ও আরডিএ মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটের শাড়ির শোরুমগুলো লাল-নীল আলোকসজ্জায় ঝিলমি
ল করছে। সব দোকানেই নিত্যনতুন ডিজাইনের বাহারি নাম ও দামের শাড়ি। এবারের ঈদে ট্র্যাডিশনাল শাড়ির কদর বেড়েছে। প্রথা ও ঐতিহ্যের সমন্বয়ের পাশাপাশি এসব শাড়িতে নতুন নকশা, কারুকাজ নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। সাহেব বাজারের জমির শাড়ি হাউজের বিক্রেতারা জানান, এবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে টাঙ্গাইলের বালুচুড়ি। তার পরই রয়েছে ভারতীয় চেন্নাই জর্জেট। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের অন্য শাড়িও ভালো বিক্রি হচ্ছে। এসব কাপড়ের নাম দেয়া হয়েছে দেশী তন্তুজ, কটন, গাদওয়ান, টাঙ্গাইল রঙের শাড়ি, কটন বালুচুড়ি, কুচিনকশা শাড়ি প্রভৃতি। এসব শাড়ি ৪০০ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অন্য দিকে চেন্নাই জর্জেটসহ ভারতীয় বিভিন্ন জর্জেট শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে ৮০০ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার মধ্যে। নগরীর সাহেব বাজার ও আরডিএ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, উচ্চবিত্ত থেকে নি¤œবিত্ত সব শ্রেণী ও পেশার মানুষ ভিড় করছেন শাড়ির দোকানগুলোয়। সকালে বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতাদের পদচারণায় ভাটা পড়লে মার্কেটগুলো কিছুটা ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। তবে দুপুরের পর থেকে বাজার ধীরে ধীরে আবারো পুরোদমে জমতে শুরু করেছে। আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, ক্রেতাদের বেশি ঝোঁক দেশীয় কাপড়ের দিকেই। ভারতীয় শাড়ির দাম বেশি হওয়ায় বিক্রি কম, লাভও কম। সে কারণে দোকান সাজানো হয়েছে ব্যতিক্রমী সব দেশী শাড়িতেই। তারা জানান, এবার ঈদবাজারে হাতের কাজ করা জর্জেট শাড়ির যথেষ্ট কদর রয়েছে। এগুলো বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার থেকে ছয় হাজার টাকায়। এই শাড়ির দিকে নারীদের ঝোঁক একটু বেশি। এর সাথে রাজনী, হ্যান্ডওয়ার্ক, কমুকমু, মেঘা, সেলিব্রেটি, নার্গিস ও দেশী কাতান শাড়ি ভালো বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তারা।

No comments:

Post a Comment