Monday, July 7, 2014

দলে পরিবর্তন নিয়ে সরব কংগ্রেস নেতা–কর্মীরা:প্রথম অালো

ভারতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকেই কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এত দিন সবাই বিষয়টি গোপন রাখলেও এখন অনেকে প্রকাশ্যে দলে আমূল পরিবর্তনের কথা বলছেন। ভারতজুড়ে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। দলীয় কর্মীদের অভিযোগ, বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতার ঔদ্ধত্য আচরণের কারণে আজ দলের এই অবস্থা। সহজে ওই সব নেতার স
াক্ষাৎ পাওয়া যেত না। খবর সিএনএন-আইবিএন ও পিটিআইয়ের। দিল্লি কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলোর দাবি, দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতই সেখানে দলের ভরাডুবির মূল কারণ। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনেক অভিযোগ রয়েছে। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের কারণও একই। মহারাষ্ট্র কংগ্রেস কমিটির সূত্রগুলো বলছে, রাজ্যের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চাভানের নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনা করেছেন। কংগ্রেস নেতা মহাবল মিশ্র গেল লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। তিনি বলেন, দিল্লিতে কংগ্রেসের পরাজয়ের অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা জনগণের কাছে সঠিক বার্তা পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী অহংবোধে ভুগছিলেন। কেন্দ্রীয় আরও অনেক নেতার আচরণ ছিল ঔদ্ধত্যপূর্ণ। সহজে তাঁদের দেখা-সাক্ষাৎ পাওয়া যেত না। অভিযোগ উঠেছে, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছিল প্রকট। বিহারে আরজেডির সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠন করা হয় অসময়ে। অন্ধ্র প্রদেশে দলীয় নেতাদের মধ্যে বিভাজন ছিল ভয়াবহ। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে কংগ্রেসের গড়িমসির সমালোচনা করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা মনি শঙ্কর আয়ার। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের ছয় মাস আগেই দলীয় প্রার্থী বাছাই করতে হবে। বিধানসভার প্রার্থী মনোনীত করতে হবে নির্বাচনের অন্তত তিন মাস আগে। অথচ দক্ষিণ চেন্নাইয়ে মনোনয়নের দুই ঘণ্টা আগে প্রার্থিতা ঘোষণা দেওয়া হয়। স্পিকারের সিদ্ধান্ত পক্ষপাতদুষ্ট হবে: কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা কমল নাথ গতকাল রোববার বলেন, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিরোধী দলের নেতার ইস্যুতে স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের সিদ্ধান্ত পক্ষপাতদুষ্ট হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রভাবমুক্ত হতে পারবেন না স্পিকার। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, স্পিকারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিজেপি থেকে। বিজেপি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। তাই স্পিকারের ওপর দলটির প্রভাব থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রভাব থেকেও নিরপেক্ষ থাকতে পারবেন না স্পিকার।’

No comments:

Post a Comment