হামাস ও ইসরাইল গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। মিসরের মধ্যস্থতায় গতকাল এ যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে দু’পক্ষের মধ্যে মতৈক্য হয়। একজন সিনিয়র ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা এ কথা জানান। হামাসের আলোচক মুসা মারজুক বলেন, শিগগিরই যুদ্ধরিবতি চুক্তির কথা ঘোষণা দেয়া হবে। এ চুক্তির ফলে গাজায় সাত সপ্তাহের যুদ্ধের অবসান ঘটবে। এ যুদ্ধে দুই হাজার দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিন
িরা জানান, ইসরাইল গাজায় ত্রাণসামগ্রী ও নির্মাণ সরঞ্জাম নেয়ার জন্য উপত্যকাটির ওপর থেকে অবরোধ শিথিল করতে সম্মত হয়েছে। তবে ইসরাইল সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয় নিশ্চিত করা হয়নি। গাজার আরেকটি বহুতল ভবন ধ্বংস : গাজা উপত্যকার অন্যতম উঁচু ভবনে ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে। এ হামলায় বিপুল গোলাবারুদের বিস্ফোরণে কমপে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা। এর আগে গত শুক্রবার বিমান হামলা চালিয়ে ১১ তলাবিশিষ্ট একটি আবাসিক ভবন ও শনিবার জাফর টাওয়ার নামে সাত তলাবিশিষ্ট একটি ভবন ধ্বংস করে ইসরাইলি বাহিনী। মঙ্গলবার ভোর হওয়ার আগে কমপে পাঁচটি ইসরাইলি বিমান হামলা চালায় ওই ভবন ল্য করে। ভবনটিতে প্রায় ৭০টির মতো পরিবার বাস করত। এ ছাড়া অফিস ও বিপণিবিতান হিসেবেও ব্যবহার করা হতো ভবনটি। হামলা চালানোর আগে ভবনটির বাসিন্দাদের সতর্ক করায় ভবনটি মারাত্মকভাবে তিগ্রস্ত হলেও কেউ মারা যাননি। ওই ভবন ল্য করে বিমান হামলা চালানোর আগে ইসরাইলি বাহিনী তিনটি বিস্ফোরকহীন মিসাইল নিপে করে সতর্ক করে। ১৩ তলা ভবনের ১১টি ফোর বসবাসের জন্য ব্যবহার হতো। দুইটি ফোরে ছিল বাণিজ্যিক অফিস ও কফির দোকান। এ দিকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে অস্ত্রবিরতি ভেঙে পড়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রোববার রাত পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় ১৩ জন ফিলস্তিনি নিহত হন। সোমবার আহত দুই ফিলিস্তিনি মারা যাওয়ায় গত ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ১৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার ৯১৫ ফিলিস্তিনি।
No comments:
Post a Comment