Wednesday, August 27, 2014

মাসুদসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন:নয়াদিগন্ত

ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, জনমনে ভীতি সৃষ্টির অভিযোগে মতিঝিল থানায় দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, ডা: ফখরুদ্দিন মানিকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়ার আদালতে আসামিপক্ষে এই মামলার অভিযোগ থেকে আসামিদের অব্যাহতির জন্য আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুন
ে সব আসামির বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে চার্জ গঠন করেন। সাক্ষীর জন্য আগামী ১২ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। চার্জ শুনানি শেষে আদালত আসামিদের তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পড়ে শোনালে সব আসামি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং সুবিচার চান। আদালত সব আসামির বক্তব্য শুনে চার্জ গঠন করেন। এ মামলায় গতকাল ও ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদকে পুলিশ কোলে করে আদালতে হাজির করে। তখন আইনজীবী কামালউদ্দিন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আসামির অবস্থা খুবই খারাপ, তাকে পুলিশ কোলে করে আদালতে হাজির করে। গত পরশু তাকে ছয়টি মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছে। এ আসামি সুস্থ হলে তারপর শুনানি গ্রহণ করা হোক। সে জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে সময়ের প্রয়োজন।  তবে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অতিরিক্ত পি পি ফজলে রাব্বী সময় দেয়ার বিষয়ে বিরোধিতা করেন।  আদালত এ পর্যায়ে বলতে থাকেন শুনানি করুন। আইনজীবীরা তখন আদালতের নির্দেশক্রমে শুনানি শুরু করেন। আইনজীবীরা আদালতে বলেন, এ মামলায় ১৫৪ জনকে কেবল হয়রানি করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আসামিরা কখনো, কোনো অবস্থায়ই মতিঝিল থানাধীন শাপলা চত্বর, সিটি সেন্টার, দৈনিক বাংলা মোড় ও ফকিরাপুল এলাকায় কোনো গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও জনমনে ভীতি সৃষ্টি করেননি। তারা গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করলেও এ ঘটনার সাথে যুক্ত নন। পুলিশ অতি উৎসাহিত হয়ে হয়রানি করার জন্য এ মামলা করে। আইনজীবীরা বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঠিকভাবে তদন্ত করলে এ মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের নাম বেরিয়ে আসত। এ মামলার বাদি এসআই হারুন উর রশিদ যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাদের চেনেন না। তবে যারা রাজনীতি করেন পুলিশের তালিকা দেখে এ মামলায় তাদের আসামি করা হয়েছে। সে জন্য তদন্তকারীর উচিত ছিল সঠিকভাবে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া। সে জন্য আদালতের কাছে আমরা ন্যায় বিচার চাচ্ছি। আদালতই একমাত্র ন্যায় বিচার করতে পারেন।  রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল, শাপলা চত্বর, দৈনিক বাংলা মোড় এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করার কারণেই দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে। তারা অব্যাহতি পাবে না। তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হোক। আদালত এই বক্তব্য শুনে চার্জ গঠন করেন।

No comments:

Post a Comment