রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় শুধু শিল্পপ্রতিষ্ঠানই থাকবে না; সেখানে একই সাথে গড়ে উঠবে আবাসিক এলাকা ও বাণিজ্যিক স্থাপনা। এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সরকারের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশেষ এ এলাকায় প্রভাবশালীদের অনেকেই শিল্প প্লট বরাদ্দ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বরাদ্দকৃত প্লট এখনো খালি পড়ে আছে। সেসব প্লটকে আবাসিক বা বাণিজ্যিক করতে তারা দীর্ঘ দিন ধরে আবেদন-নিবেদন ও তদবির করে আসছিলেন। এরই পর
িপ্রেক্ষিতে সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। পাশাপাশি ওই এলাকার প্রধান সড়কগুলোকেও নতুন প্রস্তাবের আওতায় আনা হচ্ছে। গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, এ ব্যাপারে প্লটের মালিকেরা সংসদের স্থায়ী কমিটিতে একটি সুপারিশ দিয়েছিলেন। এরপর গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়। কমিটির প্রস্তাব পর্যালোচনা করেই সারসংপে করা হয়েছে। তিনি জানান, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ৪৩০টি প্লট রয়েছে। সচিব জানান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে প্রস্তাবটি পর্যবেণ করবে। পরীা ও মতামতসহ প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য পরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তিনি জানান, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ভারী শিল্প বা শ্রমঘন শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকতে পারবে না। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি অনুসমর্থনের একটি প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়। এর ফলে ভিসা ছাড়াই সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনীতিকেরা ফিলিপাইনে যেতে পারবেন। এ ছাড়া মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসটি (২৬ জুন) ‘গ’ শ্রেণী থেকে উন্নীত করে ‘খ’ শ্রেণীতে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
No comments:
Post a Comment