Friday, November 28, 2014

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়:নয়াদিগন্ত

দক্ষিণ ও মধ্য-এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেসাই বিসওয়াল তিন দিনের সফরে গত রাতে ঢাকা এসেছেন। পর্যবেক্ষক হিসেবে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান শেষে তিনি কাঠমান্ডু থেকে সরাসরি ঢাকা এলেন। ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের পর এটিই তার প্রথম ঢাকা সফর।   বিসওয়াল আজ সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করবেন। এতে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা গুরুত্ব পা
বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের দেয়া বক্তব্য তথ্য-প্রমাণ হিসেবে বৈঠকে তুলে ধরার জন্য বিএনপির প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানা গেছে।   ঢাকায় বিসওয়াল সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করবেন। তিনি গাজীপুরে অবস্থিত জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেইনিং (বিপসট) পরিদর্শন করবেন।   আঞ্চলিক সফরের অংশ হিসেবে বিসওয়াল বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। এটি ভারত সফরের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। এর পর তিনি নেপাল হয়ে বাংলাদেশে এলেন। টানা এই সফরের শেষভাগে তিনি উজবেকিস্তান যাবেন।   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সফরকালে বিসওয়াল গত ২৮ ও ২৯ অক্টোবর ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব সংলাপ-পরবর্তী পদক্ষেপ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হোসেন মাহমুদ আলীর যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিপক্ষীয় সফর নিয়ে আলাপ করবেন। অংশীদারিত্ব সংলাপেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সিদ্ধান্ত হয়। ওয়াশিংটনে মাহমুদ আলী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন ক্যারির সাথে বৈঠক করবেন।   মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর বিসওয়াল গত বছর নভেম্বরে প্রথম ঢাকা আসেন। এ সময় তিনি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এরপর সংলাপ ব্যর্থ হয়ে ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে য্ক্তুরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এটিকে ‘গভীর ত্রুটিযুক্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং অবাধ, স্বচ্ছ ও বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংলাপে বসার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়। অবশ্য ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত তৃতীয় অংশীদারিত্ব সংলাপের পর দেয়া যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র বা মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো কথা বলেনি।

No comments:

Post a Comment