Thursday, December 18, 2014

খালেদা জিয়াকে ছেলের মুখ সামলাতে পরামর্শ শেখ হাসিনার:নয়াদিগন্ত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার ছেলের বক্তৃতাকালে মুখ সামলে কথা বলার জন্য নির্দেশনা দিতে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, অন্যথায় দেশের মানুষ তাকে উপযুক্ত শিক্ষা দেবে।   তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার নষ্ট ছেলের বক্তৃতাকালে মুখ সামলে কথা বলাতে নির্দেশনা দেয়ার পরামর্শ দেবো। বাংলাদেশের মানুষ কখনোই এ ধরনের অমর্যাদাকর বক্তব্য মেনে নেবে না।’   প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিজয় দিবস-২০১৪ উদযাপন উপল
ক্ষে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভাষণদানকালে এ পরামর্শ দেন।   শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত শাসনকালে ২১ আগস্টের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা ও অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের অবশ্যই ধরা হবে।   প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সব রায় একের পর এক কার্যকর করা হবে। কেউ তাদের বিচারপ্রক্রিয়া থেকে বাঁচাতে পারবে না।   প্রধানমন্ত্রী দু’টি দুর্নীতি সম্পর্কিত মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে অনীহার জন্য বেগম জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, ‘আপনি যদি খুব সৎ হন তবে আদালত মোকাবেলায় ভয় পান কেন। আদালতে আপনার আইনজীবীদের আচরণও কোনো সভ্য দেশে নজিরবিহীন।’   অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও ফজলুল করিম সেলিম।   অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও ডা: দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও এ এফ এম বাহাউদ্দিন নাসিম এবং দলের সিনিয়র নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।   সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপপ্রচার সম্পাদক অসিম কুমার উকিল।   বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এই দেশের জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। তার নির্দেশে বাঙালি জনগণ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার আহ্বানে জনগণ শত্রুর প্রতিরোধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলেন।   শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের অনেক আগেই লন্ডনে এক সভায় বঙ্গবন্ধু তার কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যদি নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ অথবা প্রত্যাখ্যান করে, সে ক্ষেত্রে তার করণীয় সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিত্ব এবং বিদেশী বন্ধুদের সাথে পরামর্শ করেন।   প্রধানমন্ত্রী বলেন, লন্ডনের সভাতেই বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যদি বাঙালি জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।    

No comments:

Post a Comment