Sunday, September 7, 2014

নিরাপত্তা পরিষদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার:নয়াদিগন্ত

নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদের নির্বাচনে জাপানকে সমর্থন করে বাংলাদেশের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সফররত জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাথে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দেন। শীর্ষ বৈঠকে তার এই ঘোষণার পর বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, এশিয়া ও প্রশান্ত গ্রুপের প্রতি সংহ
তি ও একাত্মতা জানিয়ে বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে নির্বাচনে ২০১৬-১৭ মেয়াদে জাপানের প্রার্থিতা সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সাথে বন্ধু জাপানের জন্য বাংলাদেশ তার নিজ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। জাতিসঙ্ঘের গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচটি দেশ স্থায়ী সদস্য। দেশগুলো হলোÑ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, চীন ও ফ্রান্স। বাকি ১০টি অস্থায়ী পদে ভোটাভুটির মাধ্যমে সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকে, যার একটি পদে ২০১৬-১৭ মেয়াদে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা কয়েক বছর আগেই দিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১১ সালে জাপানও ২০১৬-১৭ মেয়াদে একই গ্রুপ থেকে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে প্রার্থিতার ঘোষণা দেয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলাদেশের সাথে জাপানের আলোচনা চলে। বাংলাদেশ এর আগে ১৯৭৯-৮০ এবং ১৯৯৯-২০০০ মেয়াদে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ছিল। জাপানকে ছাড় দেয়ার বিষয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জাপানের অব্যাহত এবং বলিষ্ঠ সমর্থনের পরিপ্রেেিত এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি এ সময় মুক্তিযুদ্ধে জাপান সরকার এবং সে দেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহমর্মিতার কথা স্মরণ করেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীও তার উন্নয়ন পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেছেন। বাংলাদেশকে আগামী চার থেকে পাঁচ বছরে ৬০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা দিচ্ছে জাপান। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে বে অফ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট-বিগ বি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার অগ্রাধিকারে রাখার প্রতিশ্রুতি দেন আবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে দুই দশকের অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। সময়ের পরিক্রমায় জাপান বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে দেয়া জাপানের ১২০০ কোটি ডলারের অর্থ সহায়তা এবং আগামী চার থেকে পাঁচ বছরে আরো ৬০০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। গত মে মাসে জাপান সফরের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিপীয় সম্পর্কের সব ত্রে সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ় করার ল্েয আমি এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে যৌথভাবে ‘সমন্বিত অংশীদারিত্ব’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছি। বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা : স্ত্রী আকি আবেকে নিয়ে বেলা ১টায় ঢাকায় নামলে বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয় জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে। তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার নেয়ার পর দেড় শ’ সফরসঙ্গীকে নিয়ে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান আবে। সেখানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ধানমন্ডীতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান তিনি। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন আবে। এরপর সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক ফোরামের একটি সভায় বক্তব্য রাখেন শিনজো আবে। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। এরপর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেন। এর আগে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সোনারগাঁওয়ে শিনজো আবের সাথে সাক্ষাৎ করেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন। এর পরই শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান : বিকেলে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ঢাকা আসা দেশটির উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেন। বিদেশী বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনা জাপানের ব্যবসায়ীদের আরো বেশি বিনিয়োগের জন্য জাপানের ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, জাপানের বিনিয়োগকারীরা অটোমোবাইল, মাইক্রোপ্রসেসরের মতো উচ্চ প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ করবে। অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোর জন্য আমরা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) নীতি গ্রহণ করেছি। জাপানের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, বস্ত্র, চামড়া, পেট্রোকেমিক্যাল, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ, কৃষিভিত্তিক শিল্প, হালকা প্রকৌশল ও ইলেকট্রনিকস, টেলিকমিউনিকেশন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করার ওপর গুরুত্ব : দুপুরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক ফোরামের একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিনজো আবে জাপানের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড, শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) এবং জাপান বহির্বাণিজ্য সংস্থা (জেটরো) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করেছে। বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, বেসরকারি খাত ও শহরাঞ্চলের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আশা করি এসব ক্ষেত্রে জাপানের প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। এটি উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে। শিনজো আবে বলেন, ‘জাপানের অর্থনীতিকে চাঙা করতে আমি আবেনমিসের প্রয়োগ ঘটাচ্ছি। এ জন্য জাপানের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি আজ বাংলাদেশ সফর করছি।’ মন্দাক্রান্ত জাপানি অর্থনীতিকে চাঙা করতে আবে যে নীতি গ্রহণ করেছেন, তাই ‘আবেনমিকস’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। জাপান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে ‘ভাই-বোনের’ সম্পর্ক হিসেবে অভিহিত করে দুই দেশের উন্নয়নে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রত্যাশা করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এ েেত্র নিজের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন শিনজো আবে। শিনজো আবে বক্তৃতায় জাপানের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে তার নীতি তুলে ধরেন। নিজের নীতির সফল প্রয়োগে দণি-পূর্ব এশিয়া ও ভারতের মধ্যবর্তী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হোটেল সোনারগাঁওয়ে শিনজো আবের সাথে সাক্ষাৎ করেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন। এর পরই শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান : বিকেলে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ঢাকা আসা দেশটির উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেন। বিদেশী বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনা জাপানের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা আশা করি জাপানের বিনিয়োগকারীরা অটোমোবাইল, মাইক্রোপ্রসেসরের মতো উচ্চ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করবেন। অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোর জন্য আমরা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) নীতি গ্রহণ করেছি। জাপানের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বস্ত্র, চামড়া, পেট্রোকেমিক্যাল, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ, কৃষিভিত্তিক শিল্প, হালকা প্রকৌশল ও ইলেকট্রনিকস, টেলিকমিউনিকেশন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করার ওপর গুরুত্ব : দুপুরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক ফোরামের একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিনজো আবে জাপানের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড, শিল্প ও বণিক সমিতি ফোডারেশন (এফবিসিসিআই) এবং জাপান বহিঃবাণিজ্য সংস্থা (জেটরো) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, বেসরকারি খাত ও শহরাঞ্চলের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আশা করি এসব ক্ষেত্রে জাপানের প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। এটি উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে। শিনজো আবে বলেন, ‘জাপানের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আমি আবেনমিকসের প্রয়োগ ঘটাচ্ছি। এ জন্য জাপানের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি আজ বাংলাদেশ সফর করছি।’ মন্দাক্রান্ত জাপানি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আবে যে নীতি গ্রহণ করেছেন, তাই ‘আবেনমিকস’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। জাপান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে ‘ভাই-বোনের’ সম্পর্ক হিসেবে অভিহিত করে দুই দেশের উন্নয়নে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রত্যাশা করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এ েেত্র নিজের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন শিনজো আবে। বক্তৃতায় শিনজো আবে জাপানের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে তার নীতি তুলে ধরেন। নিজের নীতির সফল প্রয়োগে দণি-পূর্ব এশিয়া ও ভারতের মধ্যবর্তী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

No comments:

Post a Comment